বিশ্ব মুসলিম উম্মার হেদায়েত ঐক্য শান্তি সমৃদ্ধি কল্যাণ কামনার মধ্য দিয়ে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত সম্পন্ন শেষ হয়েছে।
রোববার সকাল ৯টা ১মিনিটে আখেরি মোনাজাত শুরু হয়ে শেষ হয় ৯টা ২৩ মিনিটে। মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা জুবায়ের।
আগামী শুক্রবার দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা শুরু হবে। ১১ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্বের মোনাজান অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক বাণীতে আগত মুসল্লিদের কল্যাণ ও ইজতেমার সাফল্য কামনা করেন ।

মোনাজাতে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর হেদায়েত, ঐক্য, শান্তি, সমৃদ্ধি, ইহকাল ও পরকালের নাজাত এবং দ্বীনের দাওয়াত সর্বত্র পৌঁছে দেওয়ার জন্য দোয়া করা হয়। এছাড়া সব ধরনের গুনাহ মাফের জন্য আল্লাহ কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়।
আখেরি মোনাজাতে নিজের আত্মশুদ্ধি ও নিজ নিজ গুনাহ মাফের পাশাপাশি দুনিয়ার সব বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত করার জন্য দুই হাত তুলে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় উপস্থিত লাখো লাখো মুসল্লি প্রার্থনা করেন।
বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আজমত উল্লা খান, গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহবুবুল আলম প্রমুখ।
নেওয়ার কোনো বিধান না থাকলেও আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েক হাজার নারী ইজতেমা ময়দানের আশপাশ, বিভিন্ন মিলকারখানা, বাসা-বাড়ি ও বিভিন্ন দালানের ছাদে বসে আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন। ভোর থেকে তারা ইজতেমা ময়দানের পাশে টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল মাঠ, ইজতেমা মাঠের পশ্চিম পাশে কামারপাড়া ও আশপাশের খোলা ময়দানে অবস্থান নেন। আখেরি মোনাজাতের ফজিলত লাভের আশায় তারা মোনাজাতে শরিক হতেই ময়দানের আশপাশের এলাকায় পর্দার সঙ্গে অবস্থান নেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম জানান, আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আখেরি মোনাজাত প্রচারের জন্য গণযোগাযোগ অধিদপ্তর ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে গণযোগাযোগ অধিদপ্তর ইজতেমা ময়দান থেকে আব্দুল্লাহপুর ও বিমানবন্দর রোড পর্যন্ত এবং গাজীপুর সিটি করপোরেশন ইজতেমা ময়দান থেকে চেরাগআলী, টঙ্গী রেল স্টেশন, স্টেশন রোড ও আশপাশের অলিগলিতে পর্যাপ্ত মাইক সংযোগের ব্যবস্থা করে।
টঙ্গীর রেলওয়ে স্টেশনের কর্মকর্তা মো. রাকিবুর রহমান জানান, বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে আখাউড়া, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ সহ বিভিন্ন রুটে প্রায় ১০০টি ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৪টি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আখেরি মোনাজাতের আগে ও পরে সোনার বাংলা, সুবর্ণা, পর্যটক ও কক্সবাজার এই ৪টি বিশেষ ট্রেন ছাড়া সকল ট্রেন টঙ্গী স্টেশনে যাত্রা বিরতি করে।
GIPHY App Key not set. Please check settings